K U A K A T A

কলাপাড়া উপজেলা

About
About
About







About

কলাপাড়া উপজেলা

কলাপাড়া বা খেপুপাড়া বাংলাদেশের পটুয়াখালী জেলার অন্তর্গত একটি উপজেলা। অনেকে একে খেপুপাড়া নামেও চেনেন। বাংলাদেশের দ্বিতীয় সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটা এই উপজেলায় অবস্থিত।

খেপুপাড়ার একটি সমৃদ্ধ ইতিহাস আছে। বাংলাদেশের সমবায় আন্দোলনের শুরুর দিককার উপজেলা খেপুপাড়া। সমবায়ের মাধ্যমে খেপুপাড়ায় ব্রিটিশ আমলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এশিয়ার বৃহত্তম বায়ুচালিত ধান ভাঙ্গানো কল। খেপুপাড়ার সমবায়ীরা সেখানে আরও গড়ে তুলেছেন তেল কল, ম্যাচ ফ্যাক্টরি, ছাপাখানা, সিনেমা হল এবং আরও অনেক কিছু। খেপুপাড়ার সমবায় আন্দোলন এখন ঝিমিয়ে পড়েছে।

খেপুপাড়ায় দেশের চারটি রাডার স্টেশনের একটি অবস্থিত। ১৯৭৬ সালে খেপুপাড়ায় বিদ্যুত পৌছেছে। টেলিফোন সুবিধাও পৌছে গেছে একইসময়ে।

অবস্থান

উত্তর ও পশ্চিমে আমতলী উপজেলা, পূর্বে রাবনাবাদ চ্যানেল ও গলাচিপা উপজেলা এবং দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর অবস্থিত। ভৌগোলিক অবস্থানঃ ২১°৫৯'১০" উত্তর ৯০°১৪'৩২" পূর্ব /২১.৯৮৬১° উত্তর ৯০.২৪২২° পূর্ব

ইতিহাস

নামকরণঃ উপজেলার নাম কলাপাড়া হলেও খেপুপাড়া নামে সমানভাবে পরিচিত। খেপু ও কলাউ নামে রাখাইন দুই ভাই জঙ্গল কেটে এই অঞ্চল মানুষ বসবাসের উপযোগি করে তোলে। কথিত আছে উপজেলা শহরের মধ্য দিয়ে উত্তর দক্ষিণে প্রবাহিত একটি খালের দুই পাড়ে খেপু ও কলাউ বাস করত । পূর্ব পাড়ে কলাউ মগ ও পশ্চিম পাড়ে খেপু মগ। কলাউ মগের নামানুসারে পূর্ব পাড়ের বসতির নাম কলাপাড়া এবং খেপু মগের নামানুসারে পশ্চিম পাড়ের গ্রামের নাম হয় খেপুপাড়া। খেপু ও কলাউ রাঙ্গাবালী থেকে এখানে এসেছে বলে জানা যায়। কলাউ ছিলেন বড় ভাই আর খেপু ছিলেন ছোট ভাই। দুই জন দুই পাড়ার মাতুব্বর ছিলেন। কলাউ মাতবর প্রায় ৮০ বৎসর বেঁচে ছিলেন। তাঁদের ঘর-বাড়ি ও সমাধি আন্ধারমানিক নদীতে বিলীন হয়ে গিয়েছে। দুই পাড়া বিভক্তকারী খালটি পুরাতন কাঠপট্টি স্লুইজ গেট থেকে শুরু করে কুমারপট্টি কালর্ভাট ও আখড়াবাড়ি কালভার্ট হয়ে চিংগড়িয়ার পাশ দিয়ে এখনো প্রবহমান। কালক্রমে উক্ত দুটি নাম একই শহরের স্থায়ী নামে রূপান্তরিত হয়।

অর্থনীতি

কলাপাড়ার মূল অর্থনীতি মূলত কৃষি নির্ভর। তবে বেশিরভাগ মানুষ সাগরে মাছ ধরেই জীবিকা নির্বাহ করে। মাছ বিক্রি করে এদের বেশিরভাগই সংসার চালায়। পাশাপাশি শুটকি তৈরি, ঘরে বসে মহিলারা ঝিনুকের মালা তৈরি, নকশি কাঁথা তৈরি করে থাকে। এছাড়াও এই উপজেলার অন্তর্গত কুয়াকাটা পর্যটনকেন্দ্র, তাই পর্যটকদের স্বার্থেই গড়ে উঠেছে বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট এবং আবাসিক হোটেল। এটাই এদের মূল অর্থনৈতিক চালিকা শক্তি। কুয়াকাটার মূল অর্থনীতি সমুদ্রে মাছ ধরা হলেও রেস্টুরেন্ট ও আবাসিক হোটেলের মাধ্যমেই অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটেছে।